জাতীয় হেল্পলাইন–৩৩৩ ও ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নাগরিকবান্ধব সেবা সম্প্রসারণ ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা আজ (মঙ্গলবার) আইসিটি বিভাগের এটুআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রদানযোগ্য সেবা সুনির্দিষ্টকরণ, ৩৩৩ হেল্পলাইন ও ডিজিটাল সেন্টারের সঙ্গে ধাপে ধাপে ইন্টিগ্রেশন এবং বিকেন্দ্রীকরণের রূপরেখা গৃহীত হয়। এতে স্বরাষ্ট্র, ভূমি, পররাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ, প্রবাসীকল্যাণ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এটুআইয়ের সিনিয়র কনসালটেন্ট (উপসচিব) জনাব ফজলুল জাহিদ পাভেল। মূল আলোচনা করেন ইনোভেশন ক্লাস্টারের প্রধান জনাব মো. নাহিদ আলম। কর্মশালার উদ্বোধন করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (ই–গভর্নেন্স) জনাব মো. কামরুল হাসান। সমাপনী বক্তব্য দেন এজেন্সি টু ইনোভেটের প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব জনাব মো. আল মামুন এবং এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) জনাব মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর।
উল্লেখ্য, ৩৩৩ নম্বরে কল করে নাগরিকরা সরকারি দপ্তর ও কর্মকর্তাদের যোগাযোগ, পর্যটন ও জেলা সম্পর্কিত তথ্য জানতে পারার পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, পরিবেশদূষণ, মাদক, ইভ টিজিং, খাদ্যে ভেজাল ও নারীর প্রতি সহিংসতাসহ সামাজিক সমস্যা জানাতে পারেন। এছাড়া জরুরি অবস্থা, ত্রাণ ও প্রণোদনা–সংক্রান্ত সহায়তার আবেদনও করা যায়।
এদিকে দেশজুড়ে ৯ হাজার ৫০০–এর বেশি ডিজিটাল সেন্টারের ১৭ হাজারেরও বেশি উদ্যোক্তা ব্যাংকিং, টেলিমেডিসিন, ই–টিকেটিং ও ই–কমার্সসহ সরকারি–বেসরকারি সেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।