সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জলাশয় থেকে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার গোপালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি: ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম নিহত ৪০ হাজার মানুষের স্বপ্ন—স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হচ্ছে তিস্তার চরের সড়ক গোপালগঞ্জে ঐতিহ্য ও সৃজনশীলতার মেলবন্ধন—মুকসুদপুরে পিঠা উৎসব রূপগঞ্জে দেয়াল ধসে প্রাণ গেল ফাতেমার, আহত মায়ের হাসপাতালেও মিলল না শয্যা মৃত্যু উপত্যকায় মুখে লতিফ ছাত্রাবাস- ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত। পত্নীতলায় রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা কেটে ফেললো কৃষকের ৩৫০টি আমগাছ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বিষ প্রয়োগে এক বিঘা পেঁয়াজের বীজতলা নষ্ট, কৃষকের ক্ষতি ৬ লাখ টাকা

অবশেষে সেমাই-চিনি-চালে ফরিদার ঈদ উদযাপন

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১.৪৮ পিএম
  • ৪৪২ Time View
27

অন্যের দেয়া সেমাই চিনি চালে ফরিদার ঈদ উদযাপন। নিজের সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের জন্য সেমাই চিনি কিনতে পারেনি। তবে মমিনুরের ভাই ও মায়ের দেয়া চালে ঈদ পালন করেছে ফরিদা বেগম। ঈদ আনন্দ নেই ফরিদার সংসারে এই শিরোনামে গত ৩০ মার্চ ইত্তেফাক অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অনেকে। 

গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রেসক্লাব ফরিদার পরিবারের  সেমাই, চিনি, বাচ্চাদের জন্য জামা ও ফরিদার একটি শাড়ী প্রদান করে। জামায়াতে ইসলামী গঙ্গাচড়া শাখা মমিনুর ও ফরিদার পরিবারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তাছাড়া তাদের আর্থিক সহায়তা করেছেন কেউ কেউ।

উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী গাউছিয়া বাজার এলাকার মমিনুর ইসলামের সঙ্গী ফরিদা বেগম। স্বামী মমিনুর দিনমজুর। একদিন কাজ পান তো তিনদিন বসে থাকতে হয়। সব সময় কাজ হয়না। তাছাড়া গ্রামে লোকজনের অবস্থা খুব খারাপ।

ফরিদার সংসারে ২ ছেলে। মোবাশ্বের (৪) ও রহমতঊল্লাহ(২)। বাড়িতে নড়বড়ে ১০ হাতের একটি চালাই সম্বল। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। রান্নার কাজ করেন বাহিরে খোলা আকাশের নীচেই। ঘরে ভাঙ্গা একটা চৌকি। তাও নড়বড়ে। ছেড়া কেতা বালিশ। ঘরে মানুষ ঘোরার মত জায়গা নেই।

বাচ্চাদের জন্য ঈদের নতুন জামা কিনছেন কিনা এর জবাবে ফরিদা বেগম বলেন, হামরা খাবারে পাই না । জামা কোনটে পাই।

সেমাই চিনি কিনছেন কিনা জবাবে বলেন, আল্লা দিলে খামো নয়তো নয়। স্থানীয় লোকজন বলেন, খুব কষ্টে চলে ওদের সংসার।

সরেজমিনে ফরিদার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমাহীন কষ্ট ফরিদার। ঘরে রান্না করার মত নুন নেই,  তেল নেই, নেই মরিচ।

ফরিদা বলেন, ঈদের দিন শাশুড়ি দিয়েছে চাল, মমিনুরের এক ভাই দিয়েছে বাচ্চার জন্য একটা জামা। সেমাই চিনি দিয়েছেন আরেক ভাই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

fd43f8d18c7312b2a8b90a5edc5903e9
© All rights reserved © 2024