অন্যের দেয়া সেমাই চিনি চালে ফরিদার ঈদ উদযাপন। নিজের সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের জন্য সেমাই চিনি কিনতে পারেনি। তবে মমিনুরের ভাই ও মায়ের দেয়া চালে ঈদ পালন করেছে ফরিদা বেগম। ঈদ আনন্দ নেই ফরিদার সংসারে এই শিরোনামে গত ৩০ মার্চ ইত্তেফাক অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অনেকে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রেসক্লাব ফরিদার পরিবারের সেমাই, চিনি, বাচ্চাদের জন্য জামা ও ফরিদার একটি শাড়ী প্রদান করে। জামায়াতে ইসলামী গঙ্গাচড়া শাখা মমিনুর ও ফরিদার পরিবারে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তাছাড়া তাদের আর্থিক সহায়তা করেছেন কেউ কেউ।
উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী গাউছিয়া বাজার এলাকার মমিনুর ইসলামের সঙ্গী ফরিদা বেগম। স্বামী মমিনুর দিনমজুর। একদিন কাজ পান তো তিনদিন বসে থাকতে হয়। সব সময় কাজ হয়না। তাছাড়া গ্রামে লোকজনের অবস্থা খুব খারাপ।
ফরিদার সংসারে ২ ছেলে। মোবাশ্বের (৪) ও রহমতঊল্লাহ(২)। বাড়িতে নড়বড়ে ১০ হাতের একটি চালাই সম্বল। বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। রান্নার কাজ করেন বাহিরে খোলা আকাশের নীচেই। ঘরে ভাঙ্গা একটা চৌকি। তাও নড়বড়ে। ছেড়া কেতা বালিশ। ঘরে মানুষ ঘোরার মত জায়গা নেই।
বাচ্চাদের জন্য ঈদের নতুন জামা কিনছেন কিনা এর জবাবে ফরিদা বেগম বলেন, হামরা খাবারে পাই না । জামা কোনটে পাই।
সেমাই চিনি কিনছেন কিনা জবাবে বলেন, আল্লা দিলে খামো নয়তো নয়। স্থানীয় লোকজন বলেন, খুব কষ্টে চলে ওদের সংসার।
সরেজমিনে ফরিদার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীমাহীন কষ্ট ফরিদার। ঘরে রান্না করার মত নুন নেই, তেল নেই, নেই মরিচ।
ফরিদা বলেন, ঈদের দিন শাশুড়ি দিয়েছে চাল, মমিনুরের এক ভাই দিয়েছে বাচ্চার জন্য একটা জামা। সেমাই চিনি দিয়েছেন আরেক ভাই।
সম্পাদক : নূর আলম শেখ
পুরানা পল্টন, ঢাকা-১২০০।
ইমেইল : ajkerjagaran@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের জাগরণ All rights reserved.