শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
📢 মুকসুদপুরে উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের পুনদায়িত্বশীলতারর্জাগরণ: দায়িত্বশীলতার নতুন সূচনা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত: উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে গোপালগঞ্জে বিশেষ আয়োজন মুকসুদপুরে সংঘবদ্ধ চোরের তৎপরতা – সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল রাতের আতঙ্ক শিক্ষার মানোন্নয়নে একসাথে কাজ করতে চাই” — নবাগত অধ্যক্ষের বার্তা সাংবাদিকদের প্রতি জেলা প্রশাসকের মহেশপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন দেবরের বিয়েতে ভাবীর আর্তনাদ! সরকারি মুকসুদপুর কলেজে বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খান্দারপাড়া বাজারে পাসপোর্ট হারিয়ে থানায় জিডি করলেন মোঃ সৌরভ ইসলাম গোপালগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: ঘটনাস্থলেই ১৬ জন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

বায়োমেডিকেল গবেষণায় বরাদ্দ কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

  • Update Time : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৭.০৭ পিএম
  • ৩০৬ Time View
বায়োমেডিকেল গবেষণায় বরাদ্দ কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
বায়োমেডিকেল গবেষণায় বরাদ্দ কমাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন

বায়োমেডিকেল গবেষণার অনুদানের প্রশাসনিক ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত খরচ থেকে বিলিয়ন ডলার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপকে বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির পথে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন বিজ্ঞানীরা। খবর বিবিসির।

গত শুক্রবার জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএইচ) জানিয়েছে, গবেষণার ‘পরোক্ষ খরচ’– যেমন ভবন, বিদ্যুৎ ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত খাতে অনুদান কমানো হবে।

এনআইএইচের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকার উচিত বিশ্বের সেরা চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র হওয়া। তাই প্রশাসনিক খরচ কমিয়ে যত বেশি সম্ভব তহবিল সরাসরি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যয় করা জরুরি।

এই নতুন নিয়ম সোমবার থেকে কার্যকর হবে, যা বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার (৩.২ বিলিয়ন পাউন্ড) সাশ্রয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এনআইএইচ জানিয়েছে, গবেষণার অনুদানে পরোক্ষ খরচের হার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে, যেখানে বর্তমান গড় হার ৩০ শতাংশ।

ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক ব্যয় সংকোচন সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সির (ডিএজিই) পরিচালক ইলন মাস্ক দাবি করেছেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ হার ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে ফেলেছিল।

ইলন মাস্ক এক্সে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাজার হাজার কোটি ডলারের তহবিল থাকা সত্ত্বেও তারা গবেষণা অনুদানের ৬০ শতাংশ ওভারহেড খাতে খরচ করছিল! এটা তো পুরোপুরি প্রতারণা!

কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই কাটছাঁটের ফলে গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা গবেষণার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আমেরিকান মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই অনুদানের সাহায্যেই গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর থাকে। এই কাটছাঁট আমেরিকার গবেষণার গতি কমিয়ে দেবে এবং নতুন চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজিস্ট ড. অনুশা কালবাসি বলেছেন, এটি অকল্পনীয় বিপর্যয়। কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বেসরকারি তহবিল থেকে চলতে পারবে, কিন্তু বিদ্যুৎ, ভাড়া, পানি এবং প্রশাসনিক খরচ কে দেবে?

আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, এই অনুদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের আধুনিক গবেষণাগার এবং উন্নত প্রযুক্তি বজায় রাখতে পারে, যা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয়।

কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট টেড মিচেল জানিয়েছেন, এই ঘোষণার পর থেকেই অনেক গবেষণাগার বন্ধ হতে শুরু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fd43f8d18c7312b2a8b90a5edc5903e9
© All rights reserved © 2024