📍 স্থান: পৌর মিলানায়তন, গোপালগঞ্জ পৌরসভা
📅 তারিখ: ২৫ জুন ২০২৫
🕘 সময়: সকাল ৯:০০টা
নিজস্ব প্রতিবেদক | আজকের জাগরণ
গোপালগঞ্জ জেলার ডিজিটাল সেন্টার ও পৌর ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ “দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ” অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জ পৌর মিলানায়তনে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, যুগ্মসচিব ও জেলা প্রশাসক, গোপালগঞ্জ।
সভাপতিত্ব করেন জনাব বিশ্বজিত কুমার পাল, উপপরিচালক (উপসচিব), স্থানীয় সরকার, গোপালগঞ্জ।
প্রশিক্ষণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে গতকাল ৩৫ জন উদ্যোক্তাকে একই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন,
উদ্যোক্তারা হচ্ছেন সরকারের ডিজিটাল সেবা প্রদান ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনারাই সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। তাই উদ্যোক্তা হিসেবে শুধু প্রযুক্তিগত দক্ষতা নয়, উদ্যম, আন্তরিকতা ও জনসেবার মানসিকতা থাকতে হবে।
তিনি বলেন,
জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। তাই তথ্য সংগ্রহের সময় নামের বানান, জন্মতারিখসহ সকল তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে নিবন্ধন করতে হবে। একটি সামান্য ভুল ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন,
প্রতিটি উদ্যোক্তাকে একসেবা প্ল্যাটফর্মে আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট নিয়মিত আপলোড করতে হবে। এটি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এখনো চুক্তিবদ্ধ হননি, তাদের দ্রুত নতুন চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। আর যাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ, তাদের চুক্তি নবায়ন করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী না চললে ভবিষ্যতে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
এই প্রশিক্ষণ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, সেবার মান উন্নয়ন, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিকবান্ধব আচরণে দক্ষ করে তোলা।
iDEA প্রকল্প এবং a2i কর্মসূচির আওতায় দেশে প্রায় ৯,৫০০ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপিত হয়েছে, যার মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলার সেন্টারগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
প্রশিক্ষণ শেষে উদ্যোক্তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা বলেন, এই প্রশিক্ষণ তাদের কাজের মান আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে।
আয়োজক পক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেন—উদ্যোক্তারা প্রশিক্ষণ থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দিকনির্দেশনা বাস্তবে প্রয়োগ করে ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে আরও জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও আধুনিক সেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলবেন।
Leave a Reply