‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের’ পক্ষে জনমত তৈরির জন্য নিজেদের ‘ঘোষণাপত্র সপ্তাহের’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাতে ঢাকার সড়কে লিফলেট বিতরণ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। এই লিফলেটে তাঁরা সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার পর রাজধানী ঢাকার বাংলামোটর মোড়ে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা। সেখানে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ছিলেন। তাঁরা কারওয়ান বাজার মোড় পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ করেন। ৪ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল (৬ জানুয়ারি) থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘোষণাপত্র সপ্তাহ কর্মসূচি ঘোষণা করেন এই দুই সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে, সেই লিফলেটের ওপরে লেখা রয়েছে ‘জুলাইয়ের প্রেরণা, দিতে হবে ঘোষণা!’ লিফলেটের শেষে লেখা রয়েছে ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের রাজনীতিকে শক্তিশালী করুন’।

ঘোষণাপত্রে সাতটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে আহতদের বিনা মূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করা; ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা; অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করা; ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা; নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সব ধরনের বৈষম্য নিরসনের মধ্য দিয়ে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি রাখা এবং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দেওয়া।