রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
📢 মুকসুদপুরে উপজেলা বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের পুনদায়িত্বশীলতারর্জাগরণ: দায়িত্বশীলতার নতুন সূচনা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত: উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে গোপালগঞ্জে বিশেষ আয়োজন মুকসুদপুরে সংঘবদ্ধ চোরের তৎপরতা – সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল রাতের আতঙ্ক শিক্ষার মানোন্নয়নে একসাথে কাজ করতে চাই” — নবাগত অধ্যক্ষের বার্তা সাংবাদিকদের প্রতি জেলা প্রশাসকের মহেশপুর ইউনিয়ন পরিদর্শন দেবরের বিয়েতে ভাবীর আর্তনাদ! সরকারি মুকসুদপুর কলেজে বার্ষিক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত খান্দারপাড়া বাজারে পাসপোর্ট হারিয়ে থানায় জিডি করলেন মোঃ সৌরভ ইসলাম গোপালগঞ্জে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: ঘটনাস্থলেই ১৬ জন নিহত, আহত অর্ধশতাধিক

গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

  • Update Time : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯.০২ এএম
  • ১৭০ Time View
হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যায় অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

লেবাননের শিয়াপন্থী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে হত্যার অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। সে সময় লেবাননে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসরায়েলের নেতাদের আলোচনা চলছিল। এর পরপরই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে যান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

চিরশত্রু ইসরায়েলের হামলায় গত শুক্রবার রাতে নিহত হয়েছেন সংগঠনটির প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। তিন দশকের বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, হত্যার জন্য কয়েক মাস ধরে অনুসরণ করছিল ইসরায়েল। তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন দেশটির নেতারা।

ইসরায়েলের তিনজন জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, নাসরুল্লাহকে হত্যা করতে শুক্রবার রাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৮০টির বেশি বোমা ফেলা হয়।

ওই তিন কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই হাশেম সাফিয়েদ্দিন। শুক্রবারের হামলার সময় তিনি নাসরুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন না। তাঁকে নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি বলে মনে করা হয়।

কয়েক মাস ধরে নাসরুল্লাহর গতিবিধি অনুসরণ করছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। অনেক বছর ধরে তিনি সরাসরি জনসমক্ষে আসতেন না। ৬৪ বছর বয়সী এই নেতা বিভিন্ন সময়ে টিভিতে দেওয়া ভাষণে অনুসারীদের বার্তা দিতেন। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি উল্লেখ করে তিনি ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিতেন।

ইসরায়েল–হিজবুল্লাহর দ্বন্দ্ব বেশ পুরোনো। ২০০৬ সালে একবার যুদ্ধে জড়িয়েছিল তারা। এরপর গত বছর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে সংগঠনটি। পাল্টা হামলা চালাচ্ছিল ইসরায়েলও। দুই সপ্তাহ ধরে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল। এরই মধ্যে গত শুক্রবার রাতে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালানো হয়।

শুক্রবারের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনীর একাধিক মুখপাত্র জানান, এদিন বৈরুতে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ অন্য নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে নাসরুল্লাহ নিহত হন। প্রথমে এ নিয়ে কোনো বক্তব্য জানায়নি হিজবুল্লাহ। পরে গতকাল শনিবার তাদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

১৯৯২ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে হিজবুল্লাহর প্রধান হন নাসরুল্লাহ। মূলত লেবাননের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে দখলদার ইসরায়েলকে বিতাড়িত করতে ইরানের সমর্থনে হিজবুল্লাহর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা পায় সংগঠনটি। ধীরে ধীরে তারা দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। তবে সব৴শেষ ২০২২ সালের নির্বাচনে দেশটির পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় হিজবুল্লাহ ও তার মিত্ররা। এর পরও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের সীমান্ত লাগোয়া বড় অংশ হিজবুল্লাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলা

লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু হয় ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর। এ দুই দিনে সংগঠনটির হাজার হাজার পেজার (যোগাযোগের যন্ত্র) ও ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে হিজবুল্লাহর সদস্যসহ বহু মানুষ হতাহত হন। এরপর থেকে ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের দাবি, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হচ্ছে।

ইসরায়েল শুধু হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করার কথা বললেও তাদের হামলায় নিহত হয়েছে বহু বেসামরিক লোকজন। গত কয়েক দিনের হামলায় লেবাননে নারী, শিশুসহ ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত হিজবুল্লাহর ১৪০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার রাতে দক্ষিণ বৈরুতের হামলা ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।

এ হামলা নিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি গতকাল বলেছেন, ‘আমাদের বার্তাটা একেবারেই সাদামাটা। সেটি হলো, যে-ই ইসরায়েলের নাগরিকদের হুমকি দেবে, আমরা জানি, তাদের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে হয়।’ আর নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর গতকাল হিজবুল্লাহও জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fd43f8d18c7312b2a8b90a5edc5903e9
© All rights reserved © 2024