অনিক রায়,প্রতিনিধি,ফরিদপুর।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) উপজেলাগুলো থেকে ভাঙ্গাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন কেন গঠিত হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে রুল জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই রুল জারি করেন হাইকোর্টের বেঞ্চ, যার নেতৃত্ব দেন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে, যেখানে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা (দুটি ইউনিয়ন বাদে) মিলিয়ে ফরিদপুর-৪ আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। রিট আবেদনকারীরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করে প্রজ্ঞাপন ও জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন এবং সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা চ্যালেঞ্জ করেন।
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ২০০৮ সালে ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ আসন একত্রিত করে ফরিদপুর-৪ নামে একটি আসন গঠন করা হয়। তবে আবেদনকারীরা পূর্বের মতো দু’টি আলাদা আসন পুনরুদ্ধারের দাবিতে আবেদন করেন, যা নির্বাচন কমিশন নামঞ্জুর করেছে।
এছাড়া, ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশের বিষয়েও হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।
রিট আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম. ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম. এম. শহিদুল ইসলাম শাহীন এবং চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের মোট ১৬ জন।