
ফরিদপুরে জমি নিয়ে দুই দফা সালিশ পছন্দ না হওয়ায় দুই দল গ্রামবাসীর তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। তারা মাথায় হেলমেট, হাতে ঢালসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
এসময় বেশকিছু বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুট চালানো হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। থানা পুলিশ ঘটনা সামাল দিতে না পেরে জেলা পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়।রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল তিনটা জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে। এসময় আহত হয় অন্তত ৬০ জন। গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
তারা জানান, সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বার লোকজন গত শুক্রবার জমিজমা বিরোধ নিয়ে শালিস বৈঠকে বসে। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় রোববার বিকালে আবার বৈঠক বসলেও কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না হওয়ার দুই দল গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়ায়।
স্থানীয়দের দাবি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর না থাকায় সংঘর্ষকারীরা গ্রামবাসীর ঘরবাড়ি, দোকানপাট ভাঙচুর করে, একই সঙ্গে বহনযোগ্য মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানসিভ যুবায়ের জানান, এ পর্যন্ত ২০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন জানান, বেপরোয়া গ্রামবাসীকে শান্ত করতে না পারায় জেলা পুলিশের সহায়তা নেওয়া হয়।