
অনিক রায়, ফরিদপুর
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়, যা প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়দের কথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বিস্তার নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ঘটনার শুরু হয় সকালে একটি চায়ের দোকানে কথাকাটাকাটির মধ্য দিয়ে, যা পরে রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের ছোট ভাই কুদ্দুছ তালুকদারের অনুসারীদের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বারের অনুসারী উসমান তালুকদারের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। সংঘর্ষ চলে ফজলুল তালুকদারের বাড়ির সামনে এলাকায়, যেখানে ইট-পাটকেল ও লাঠির আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন স্থানীয়ভাবে।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বার বলেন, “আমি সবসময় এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার পক্ষে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য লোকজন পাঠিয়েছি। সংঘর্ষের পক্ষে আমি ছিলাম না, এখনও নই।”
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার জানান, “সংঘর্ষে আমাদের পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমি বর্তমানে হাসপাতালে আছি, পরে বিস্তারিত জানাবো।”
সালথা থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হাসান রাসেল জানান, “সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকাটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”
স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হলেও এলাকাবাসীর মাঝে এখনও চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।