
রাজধানীর কাকরাইলে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটার ঘটনায় বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী ও রাজশাহীতে বিক্ষোভ, মশালমিছিল, সড়ক অবরোধ এবং জাপার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের মিছিল যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লাঠিপেটায় নুরুল হক নুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন জেলায় দলটির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভে নামেন।
ময়মনসিংহে রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জে গণ অধিকার পরিষদের মিছিল শেষে উপজেলা জাপা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
নারায়ণগঞ্জে চাষাঢ়ায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মশালমিছিল শেষে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি হয়। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সমাবেশে নেতারা হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
কুষ্টিয়ায় একই সময় শহরের থানা মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মজমপুর এলাকায় গিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। সেখানে সমাবেশে বক্তারা বলেন, “আন্দোলনের নেতাদের ওপর হামলা করে আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।”
পটুয়াখালীতে গলাচিপা উপজেলা শহর ও নুরুল হকের নিজ গ্রাম চরবিশ্বাসে মশালমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা অভিযোগ করেন, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।
রাজশাহীতে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট থেকে মিছিল বের হয়ে গণকপাড়া মোড়ে জাপার জেলা ও মহানগর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বোয়ালিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশ পৌঁছার আগেই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামলার ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হলে দেশব্যাপী আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।