
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পৌরসভা শাখার অর্থ সম্পাদক মাহফুজুল হাসান তারেকের (২৮) ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত মাহফুজুল হাসানকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
গত রবিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে পৌরসভার মিয়ার বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
আহত মাহফুজুল হাসান তারেক বাঁশখালী পৌরসভার হেফাজতে ইসলাম পৌরসভা আমীর ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির হাফিজুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, স্থানীয় চৌধুরী মার্কেটে শাহাজাহানের দোকানে একটি চশমা কেনা নিয়ে দোকানদার ও ভুক্তভোগীর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। পরে উভয়ের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়। কিন্তু পরে মোটরসাইকেলযোগে মিয়ার বাজার থেকে জলদি যাওয়ার পথে দক্ষিণ নেয়াজর পাড়া এলাকায় মাহফুজুল হাসান তারেকের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করা হয়।
এ সময় মো. হামেদের (৪৬) হামলার উসকানিতে তার ওপর দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে খালেদ (৪৯), ফুরকান (২৩), আবু হানিফ মো. নোমান (২০), ওয়াহিদুল ইসলামসহ (২০) ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১৪-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আর আহত তারেককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহতের ছোট ভাই হাবিব বলেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কর্মী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমি ও আমার বড় ভাই তাদেরকে প্রতিহত করেছিলাম। এই নিয়ে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। মূলত সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইয়ের ওপর তারা হামলা চালায়।
বাঁশখালী থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।