বিশেষ প্ৰতিনিধি: আজকের জাগরণ
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোলা স্থানে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে খাবারের উচ্ছিষ্ট, মেডিক্যাল বর্জ্য, রক্তমাখা গজ-তুলাসহ নানা পরিত্যক্ত জিনিসপত্র। দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে ১০০ শয্যার এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রীতিমতো ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
বিধি অনুযায়ী বর্জ্য শোধনাগার থাকা বাধ্যতামূলক হলেও হাসপাতালটিতে নেই কোনো বর্জ্য শোধনাগার। খোলা স্থানে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে চিকিৎসা বর্জ্য ও নোংরা আবর্জনা। রোগী ও পথচারীরা দুর্গন্ধে নাকাল হলেও নীরব রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পৌর প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালের ভবনের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে। বাথরুমের ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ব্যবহৃত ডায়াপার ও অন্যান্য নোংরা জিনিসপত্র। সিঁড়ির উপরে পর্যন্ত পড়ে আছে ডাবের খোসা ও খাবারের প্যাকেট। ফলে হাসপাতালে প্রবেশ করলেই চারদিকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ।
হাসপাতালের ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলা থেকেও নিয়মিত ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন পরিত্যক্ত বস্তু। ভবনের উত্তর পাশের প্রবেশপথেও গড়ে উঠেছে ময়লার স্তূপ। তীব্র দুর্গন্ধে অনেকের বমি পর্যন্ত হয়— এমন অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
এই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে হাসপাতালসংলগ্ন আবাসিক এলাকাগুলোতেও, যা আশপাশের মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
উপজেলাসহ আশপাশের প্রায় ৭ লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল এমন নোংরা পরিবেশে থাকার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
প্রতিদিন এই হাসপাতালে ভর্তি থাকেন গড়ে ৭০ থেকে ১০০ জন রোগী, আর বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেন প্রায় ৪০০ জন। শয্যাসংকটে অনেক রোগীকেই থাকতে হয় হাসপাতালের মেঝেতে, আর সেখান থেকেই নিতে হয় দুর্গন্ধ ও ময়লার কষ্ট।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, “চিকিৎসা নিতে এসে যেন ময়লার ভাগাড়ে ঢুকতে হয়। এটা খুবই কষ্টদায়ক এবং অস্বাস্থ্যকর।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক : নূর আলম শেখ
পুরানা পল্টন, ঢাকা-১২০০।
ইমেইল : ajkerjagaran@gmail.com
Copyright © 2025 আজকের জাগরণ All rights reserved.